আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনকে উড়িয়ে দিয়ে জয় দিয়ে শুরু করল রাজশাহী রয়্যালস। ঢাকা প্লাটুনের দেয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মত্র এক উইকেট হারিয়ে ৯ উইকেটে হাতে রেখে সহজেই জয় তুলে নেয় রাজশাহী।
দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও হযরতউল্লাহ জাজাই। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৬২ রান এনে দেন তারা। তবে আক্রমণাত্মক লিটনের তাণ্ডব থামান মেহেদী হাসান। ফেরার আগে ২৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেন ডানহাতি ওপেনার।
পরে রূদ্রমূর্তি ধারণ করলেন হযরতউল্লাহ জাজাই। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেলেন শোয়েব মালিক। তাতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সহজেই জয় তুলে নেয় রাজশাহী। পথিমধ্যে এবারের আসরে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন জাজাই। সেই রাস্তায় হাঁটেন শোয়েব।
আজ (বৃহস্পতিবার) হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন রাজশাহী রয়্যালস অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানেই থেমে যায় ঢাকা প্লাটুনের ইনিংস। এত বড় বড় তারকা থাকার পরও ঢাকার কোনো ব্যাটসম্যান ফিফটির দেখা পাননি।
দলীয় ১৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তামিম ইকবাল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪ বল খেলে একটি বাউন্ডারি মেরে মোট ৫ রান করেন তামিম। রাজশাহীর পেসার আবু জায়েদ রাহীর করা সে ওভারের পঞ্চম বলে আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল।
পরে লরি ইভান্সকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন এনামুল হক। ভালোই খেলছিলেন তারা। তবে হঠাৎ থেমে যান ইভান্স। ফরহাদ রেজাকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। তবে রানের চাকা স্লো হয়নি ঢাকার। জাকের আলিকে নিয়ে এগিয়ে যান এনামুল। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। কিন্তু ক্ষণিকের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন জাকের। ফেরার আগে ২১ রান করেন তিনি।
তারা বিচ্ছিন্ন হতেই পথচ্যুত হয় ঢাকা। এরপর তাইজুল ইসলামের বলে দ্রুত ফেরেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান থিসারা পেরেরা। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি এনামুল। অলক কাপালির স্পিন ভেলকির ফাদেঁ পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ডানহাতি ওপেনার।
সেই রেশ না কাটতেই যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন বুমবুম শহীদ আফ্রিদি। রবি বোপারার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মাত্র ৫ রানেরমধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয় ঢাকা।
এরপর আরিফুল হক রানআউট হন। কিছুক্ষণ পর একই দশা হয় মেহেদী হাসানের। তারপর ওয়াহাব রিয়াজকে নিয়ে সম্মানজনক স্কোর গড়েন মাশরাফি।
ইনিংস শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করে ফেরেন ওয়াহাব। তবে ১০ বলে ২ ছক্কায় ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাশ। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আবু জায়েদ।